চকরিয়ায় ভাতিজার ছুরিকাঘাতে সিএনজি চালক হারুনর রশীদ (৪৫) নিহতের ঘটনায় ভাবী ছেনু আরা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। শনিবার দুপুরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। ছেনু আরা উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নে ৭ নম্বর ওয়ার্ড ফুলতলা খাসপাড়া এলাকার শেখ আহমদের স্ত্রী ও ছুরিকাঘাতে হত্যাকারী মো.খোকার মা। এদিকে টমটম গ্যারেজ মালিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টা পর্য্যন্ত দুই হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানায় মামলা হয়নি। প্রসঙ্গত, পূর্বশত্রুতার জেরে তুলে নিয়ে মারধর করে মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন (৪৫) নামে এক গ্যারেজ মালিককে পিটিয়ে হত্যা করে সড়কের পাশে ফেলে দেয় প্রতিপক্ষের লোকজন। শনিবার ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে মহাসড়কের মাতামুহুরি ব্রিজের কাছে লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন তার পরিবারকে খবর দিলে পুলিশের সহযোগীতায় গিয়াসউদ্দিনের বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করা হয়। গিয়াসউদ্দিন উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড দিঘীর পাড় এলাকার গোলাম কাদেরের ছেলে ও টমটম গ্যারেজ ব্যবসায়ী ছিলেন। এছাড়া শনিবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নে ৭ নম্বর ওয়ার্ড ফুলতলা খাসপাড়া এলাকায় বাড়িভিটির সীমানা বিরোধ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডার জের ধরে ভাতিজা মো. খোকার ছুরিকাঘাতে চাচা হারুণর রশিদ নিহত হয়। হারুন ওই এলাকার ছাবের আহমদের ছেলে ও সিএনজি অটোরিকশা চালক ছিলেন। চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, জমির সীমানা বিরোধ নিয়ে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা নিহতের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ভাবী ছেনু আরা বেগমকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, নিহত গিয়াসউদ্দিনের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় হত্যা, নারী ও শিশু নির্যাতন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনেসহ ৮টি মামলা রয়েছে। গিয়াস উদ্দিনকে হত্যাকারী তৌহিদ এর বিরুদ্ধে ডাকাতি ও চুরিসহ ৮টি মামলা রয়েছে বিভিন্ন থানায়। হত্যাকান্ডে জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযানে রয়েছে বলেও তিনি জানান।
