চকরিয়া মাতামুহুরী সেতুর উত্তর পশ্চিম পাশে মাতামুহুরী নদীতে দুপুরে গোসল করতে নেমে ৩ কিশোরী নিখোঁজ হওয়ার পর বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ ১জনের মৃত মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ডুবুরী দল। মৃতের নাম পিংকি আক্তার। পিংকি চকরিয়া কোরক বীদ্যাপীঠের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী ও চকরিয়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেনের কন্যা। বিকেল ৩টা নাগাদ জীবীত অবস্থায় ২ কিশোরীকে উদ্ধারের পর ১জনকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে। জীবিত উদ্ধার হওয়া ২জনের নাম আছমা আক্তার (১৬) ও তাসফিয়া (১২) তারাও একই বিদ্যালয় কোরক বীদ্যাপীঠের শিক্ষার্থী। মাতামুহুরী সেতুর উত্তর পশ্চিম পাশে চকরিয়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড অংশে শুক্রবার ২৯ আগস্ট দুপুর ১টার দিকে ৩ কিশোরী মাতামুহুরী নদীতে গোসল করতে নামে। এক জন তীরে উঠে আসলেও দুই জনের খোঁজ মেলেনি ওই সময়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আত্মীয় ও এলাকার লোকজন জাল ফেলে এবং ডুব দিয়ে নিখোঁজদের সন্ধান চালাচ্ছিল। তাতে কাজ হয়নি। এদিন বিকাল ৩টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিখোঁজদের সন্ধান শুরু করে। পরে চট্টগ্রাম থেকে ডুবুরি দল এসে কিশোরীদের উদ্ধার করে। চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। চকরিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার দিদারুল হকও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এ সময় ঘটনাস্থলে বেশি লোকজন জড়ো হওয়ায় শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের একটি টিম আসে চকরিয়া থানা থেকে। এলাকাবাসীর অভিযোগ- ড্রেজার মশিন বসিয়ে মাতামুহুরী নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে বালি উত্তোলনের কারণেই নদীতে এখন গভির গর্ত তৈরি হয়েছে। এ কারনে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছেই। ২০১৮ সালেও একই স্থানে পানিতে ডুবে ৫ শিক্ষার্থী মারা গিয়েছিল।
