বান্দরবানের লামা পৌর এলাকায় প্রভাবশালী একটি চক্রের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা ও দস্যুতার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। বুধবার (১২ নভেম্বর) দুপুর ২টায় লামা সাংবাদিক ইউনিটি কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লামা উপজেলার ২৯৩ নং ছাগলখাইয়া মৌজায় খতিয়ান নং – ১৩৫ ও ১৩৬ নং খতিয়ানের আন্দর দাগমূলে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর ক্রয়কৃত ৪০ শতক জমি দখলদার থেকে রক্ষা ও সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান ভুক্তভোগী নুর নাহার বেগম।তিনি বলেন, বিগত ৮ বছর আগে লামা উপজেলার ২৯৩ নং ছাগলখাইয়া মৌজার উক্ত খতিয়ানের ৪০ শতক জমি লামা রেজিষ্ট্রেশন অফিসে বায়নানামা দলিল নং ৬৯১/১৮ মূলে ক্রয় সূত্রে মালীকানা প্রাপ্ত হই। খরিদ করার পর হইতে উক্ত জমিতে কলাগাছ বাগান ও গাছগাছালি রোপন করে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ করে আসছি। তবে কিছুদিন ধরে লামা পৌরসভার মধুঝিরি এলাকার মোঃ সিদ্দিকুল আলম ডন ওই জমি নিজের নামে ক্রয়কৃত বলিয়া দাবি করে গায়ের জোরে তার ভাড়াটিয়া দলবল নিয়ে জমি ভোগদখল করার হুমকি দিয়ে আসছে। এরমধ্যে দখলবাজ চক্রটি আমাদের দখলীয় খরিদকৃত জায়গা জোর পূর্বক ঘেরা-বেড়া দিয়ে জমি দখলের মহড়া চালায়। নুর নাহার বেগম জানান, এ নিয়ে দুইপক্ষ বিরোধে জড়ালে সন্ত্রাসী হামলা চালায় সিদ্দিকুল আলম ডন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। জমির দখল ছেড়ে দিতে আমি ও আমার পরিবারকে নানা রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। এতে করে আমি ও আমার পরিবার চরম শঙ্কিত ও নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছি। এ বিষয়ে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে দখলের হাত থেতে জমি রক্ষা ও ভূমিদস্যুতার বিচারের দাবি জানান ভুক্তভোগী নুর নাহার বেগম। সংবাদ সম্মেলনে নুর নাহার বলেন, খরিদ করা ৪০ শতক জমির শর্ত নিয়ে আমি বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করি, বিজ্ঞ আদালত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দিলেও সিদ্দিকুর আলম ডন ও তার লোকজন কোর্টের নির্দেশ মানে না এবং কোর্টের আইন অমান্য করেছে। সে কারণে গণমাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরাসহ প্রশাসনিক সহযোগিতা কামনা করেন ভুক্তভোগী পরিবার। এদিকে অভিযুক্ত সিদ্দিকুল আলম ডন বলেন, উক্ত মৌজার একই খতিয়ানের জমির মূল মালীক হইতে দাগমূলে পরিমাপ-পরিচিহ্নিত করিয়া লামা রেজিষ্ট্রশন কার্যালয়ে বায়নানামা দলিল মূলে ১১০ শতক জমির ক্রয়সূত্রে মালিকানা প্রাপ্ত হই। মূল মালীক আমাকে যেই জায়গার দখল বুঝিয়ে দিয়েছেন,আমি সেই জায়গা দখল সত্ত্বে স্থিত আছি।।
