ঢাকাসোমবার , ৬ অক্টোবর ২০২৫

অবৈধ ২৩৭ কোটি বৈধ করতে ঘুষচুক্তি করেন মিতু

আলোকিত চকরিয়া ডেস্ক -আরটিভি
অক্টোবর ৬, ২০২৫ ১:২৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

এনবিআরের আওতাধীন কর অঞ্চল-৫ এর আলোচিত সহকারী কর কমিশনার জান্নাতুল ফেরদৌস মিতুর বিরুদ্ধে কোটি টাকার ঘুষচুক্তির প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।এসএ গ্রুপের কর্ণধার ও এসএ পরিবহনের মালিক সালাহ উদ্দিন আহমেদ ১২ কর বর্ষের কর ফাইল সম্পূর্ণ করে সাজিয়ে ২৩৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকার আয়ে মোটা অঙ্কের করফাঁকি দিতে ওই ঘুষ চুক্তি করেছিলেন। তার আয়কর আইনজীবী ওবায়দুল হক সরকার চুক্তির পর জান্নাতুল ফেরদৌস মিতুকে ঘুষের ৩৮ লাখ টাকাও প্রদান করেন। এর বিনিময়ে মিতু ১২ করবর্ষের আয়কর রিটার্নসহ স্পর্শকাতর নথি ওবায়দুলের হাতে তুলে দেন। রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) কর অঞ্চল-৫, ঢাকায় অভিযান পরিচালনা করে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম। সেই অভিযানে ঘুষের বিনিময়ে নথি দেওয়ার প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে বলে দুদকের এক বিবৃতিতে জানানো হয়। দুদক জানায়, কর অঞ্চল-৫, ঢাকার অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশ ও ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে বিধিবহির্ভূতভাবে আয়কর নথির সম্পদ বিবরণীতে সম্পদ সংযোজন করে রাষ্ট্রীয় রাজস্বের ক্ষতিসাধনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক প্রধান কার্যালয় থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিতে সাময়িক বরখাস্ত করা একজন সহকারী কর কমিশনারের ৩৮ লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে আয়কর দাতার পুরোনো আয়কর রিটার্ন এবং অন্যান্য দলিল হস্তান্তর সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়। প্রাথমিক যাচাইয়ে অভিযোগের সত্যতা রয়েছে বলে টিমের কাছে প্রতীয়মান হয়। রেকর্ডপত্র বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে।
এদিকে এনবিআর সূত্রে জানা যায়, কর অঞ্চল-৫ এর সহকারী কর কমিশনার জান্নাতুল ফেরদৌস মিতুর সঙ্গে ১ কোটি টাকার চু্ক্তি হয়েছিল সালাহ উদ্দিন আহমেদের আইনজীবীর। বিনিময়ে ১২ কর বর্ষের কর ফাইল সম্পূর্ণ করে সাজিয়ে ২৩৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকার আয় যোগ করা হয়েছিল। তাও আবার করমুক্ত সেবা খাতে। অথচ ব্যবসায়ী সালাহ উদ্দিন আহমেদ দিনের পর দিন কর ফাঁকি দিয়ে আসছিলেন। এমনকি তিনি আপিল, ট্রাইব্যুনাল ও হাইকোর্টে গিয়ে নিজের পক্ষে রায় পাননি।
এরপরই আয়কর আইনজীবী ওবায়দুল হক সরকার নতুন ফন্দি আঁটেন। সার্কেল কর্মকর্তার সঙ্গে কোটি টাকার ঘুষের চুক্তি করে বাড়তি সুবিধা হাতিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করেন। সে অনুযায়ী, ঘুষের ৩৮ লাখ টাকা পরিশোধও করেন। বিনিময়ে সার্কেল থেকে পুরো ফাইল নিজের চেম্বারে নিয়ে ১২ বর্ষের পুরোনো রিটার্ন পরিবর্তন করেন। এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা ইউনিটের তদন্তে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে। ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে গত ১ সেপ্টেম্বর জান্নাতুল ফেরদৌস মিতুকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
অন্যদিকে করদাতা সালাহ উদ্দিন আহমেদ এবং আয়কর আইনজীবী ওবায়দুল হক সরকারের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।