ঢাকারবিবার , ৫ অক্টোবর ২০২৫

সারাদেশে সেপ্টেম্বর ১ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪১৭

আলোকিত চকোরিয়া ডেস্ক-
অক্টোবর ৫, ২০২৫ ২:০২ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সারাদেশে সেপ্টেম্বর মাসে ৪৪৬টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪১৭ জন নিহত ও ৬৮২ জন আহত হয়েছেন। নিহতের মধ্যে নারী ৬৩ জন এবং শিশু ৪৭ জন। মোট নিহতের মধ্যে ১৫১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৪৩ জন মারা গেছেন, যা মোট নিহতের ৩৪.২৯ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৩.৮৫ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১১২ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২৬.৮৫ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৫৬ জন, অর্থাৎ ১৩.৪২ শতাংশ। আজ শনিবার (৪ অক্টোবর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। সংস্থাটি থেকে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বিশেষ করে মোটরসাইকেল আরোহী এবং পথচারীদের মধ্যে আহত ও নিহতের হার অনেক বেশি। রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে। এ সময়ে ১৭টি নৌ-দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত এবং ৬ জন নিখোঁজ। ২৯টি রেল দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত এবং ১৩ জন আহত।  প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ১৪৩ জন (৩৪.২৯ শতাংশ), বাসের যাত্রী ৩৫ জন (৮.৩৯ শতাংশ), ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর আরোহী ২৩ জন (৫.৫১ শতাংশ), প্রাইভেটকার আরোহী ৮ জন (১.৯১ শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী ৬৯ জন (১৬.৫৪ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী ১৬ জন (৩.৮৩ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল ও রিকশা আরোহী ১১ জন (২.৬৩ শতাংশ) নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় ব্যবহৃত যানবাহনের মধ্যে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি-ড্রাম ট্রাক ২৫.৫৬ শতাংশ, যাত্রীবাহী বাস ১৮ শতাংশ, মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার-জীপ ৩.৯৩ শতাংশ, মোটরসাইকেল ২৪.০৫ শতাংশ, থ্রি-হুইলার ১৫.২৭ শতাংশ, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন ৬.৬৫ শতাংশ, বাইসাইকেল-রিকশা ২.৮৭ শতাংশ এবং অজ্ঞাত যানবাহন ৩.৬৩ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ব্যবহৃত মোট যানবাহনের সংখ্যা ৬৬১টি। এর মধ্যে বাস ১১৯টি, ট্রাক ১০৪টি, কাভার্ডভ্যান ২১, পিকআপ ১৮টি, ট্রাক্টর ৬টি, ট্রলি ৭টি, লরি ৫টি, ড্রাম ট্রাক ৮টি, মাইক্রোবাস ৭টি, প্রাইভেটকার ১৬টি, জীপ ৩টি, মোটরসাইকেল ১৫৯টি, থ্রি-হুইলার ১০১টি, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন ৪৪টি, বাইসাইকেল ৭টি, রিকশা ১২টি এবং অজ্ঞাত যানবাহন ২৪টি। দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ভোরে ৭.৮৪ শতাংশ, সকালে ৩০.০৪ শতাংশ, দুপুরে ২০.৬২ শতাংশ, বিকালে ১০.৭৬ শতাংশ এবং সন্ধ্যায় ৭.১৭ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, দুর্ঘটনার মূল কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে বেপরোয়া গতি, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, অদক্ষ চালক, ট্রাফিক আইন না মানা এবং দুর্বল তদারকি। এছাড়া মহাসড়কে স্বল্প গতির যান চলাচল এবং পরিবহনে চাঁদাবাজিও অন্যতম কারণ। দুর্ঘটনা রোধে সংগঠনটি ১০টি সুপারিশ দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- দক্ষ চালক তৈরি, চালকের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্ধারণ, ট্রাফিক আইন কঠোর বাস্তবায়ন, মহাসড়কে ধীরগতির যান চলাচল বন্ধ, বিকল্প সার্ভিস রোড নির্মাণ ও সচেতনতা কার্যক্রম বৃদ্ধি। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, ‘অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটছে অতিরিক্ত গতিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে। প্রযুক্তির মাধ্যমে গতি পর্যবেক্ষণ ও চালকদের মানসিক প্রশিক্ষণ জোরদার করা জরুরি।।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।