শুধু কি বৈশাখেই কাল বৈশাখির রুদ্র রুপ আছে?আছে কি শুধু লণ্ডভণ্ড করার প্রয়াস?
আমিতো দেখেছি ১ লা বৈশাখের অপরুপ রুপে সেজে উঠে আমার প্রিয় বাংলাদেশ।
জৈষ্ঠ্যমাস নিয়ে আসে কি শুধু
ফলের ঝুড়িতে মধু রসের অমিয় ধারা।
আমিতো দেখেছি গ্রীষ্মের তাপদাহে
পুড়ে ছাই হয়ে যায় বাংলা মায়ের প্রতিটি পাড়া।
আষাঢ়ে কি শুধু ঝরে যায় বাদলের ধারা,
আমিও দেখেছি বৃষ্টির রিনিঝিনি শব্দে
কবিরা হয় প্রেমের কবিতায় মাতোয়ারা।
০শ্রাবণ মাসে শুধু বর্ষার রুপেই হয়না পরিপূর্ণ
আমিও দেখেছি বর্ষার স্রোত ধারায়
হাজারো মানুষ হয়েছে ভিটে মাটি শূন্য।
ভাদ্র মাসে তাল পাকা গরমে শুধু
জীবন হয়না অতিষ্ঠ,
তালের বড়া আর নানা রকম পিঠা পুলিতে
প্রাণ যে হয় মধু মিষ্ট।
আশ্বিন মাসে শুধু গা করেনা শিন শিন
শরতের আমন্ত্রণ পেয়ে আকাশ বাতাস
শুভ্র কাশবন মৃদ হাওয়ায় নাচে তা ধিন ধিন।
কার্তিক কে বলে সবাই কেন মরা কার্তিক
আমিতো দেখেছি মরা কার্তিক ও
বৃষ্টির জলধারায় ভিজে উঠে চারিদিক।
অগ্রহায়ণ মাসে শুধু নবান্নেই নয় পরিপুষ্ট
সোনালী ধানের প্রতিটি দানায় রয়েছে
কৃষাণ কৃষাণীর হাসিতে আত্মতুষ্ট।
পৌষের শীতে শুধু পুড়ে ছাই হয়না তুষ
নি:স্ব জনকে পোশাক দানে
পাশে আসে কিছু মহতি মানুষ।
মাঘের শীতে শুনেছি কাপে বাঘা মামা
আমিতো দেখেছি খেজুর রস,হাজারী গুর
দিয়ে মা চাচীরা বানায় পিঠা টুপটুপ খাসা।
ফাল্গুনে শুধু বসন্তের কোকিল
মধুর সুরে গান গায়না,
জীবনে কিছু বসন্ত অগ্নি রুপে দেয় হানা।
চৈত্রের রৌদ্দুরে মাটি ফেটে চুরচুর
সেই তপ্ত অনূভুতি কেও দেখেছি
কবি ও শিল্পী গানে সেজে উঠে সমুধুর।।
লেখক : জান্নাতুল ফেরদৌসী
কবি গ্রন্থ প্রণেতা ও শিক্ষক
