ইন্তেজার-নামা
— একপাক্ষিক ইশ্কের নীরব মিনার থেকে লেখা প্রতীক্ষার জবানবন্দি —
প্রতীক্ষার এক নীরব মিনার আমি—
যেখানে প্রতিদিন শবনম ঝরে, অথচ আকাশে মেঘ নেই।
তোমার একটিমাত্র সালামের আশায়
আমি অনাহূত মাহবুব হয়ে বসে থাকি
সময়ের দোরগোড়ায়।
আমি যেন আজকের মজনু, অপেক্ষার মরুতে হাঁটছি,
যার লায়লা মাঝে মাঝে আকাশে মেঘ হয়ে আসে,
আবার অন্তরালে মিলিয়ে যায়।
তুমি এসো—
হঠাৎ সূর্যোদয়ের মতো,
তারপর গুটিয়ে নিও নিজেকে
যেন অচেনা রাত, মুখ না দেখিয়ে হারিয়ে যাও।
তুমি কি তবে আমার শামস?
আলো দিয়ে চলে যাও,
আর আমি ছায়ার মধ্যেই ইশ্ক লিখে যাই।
ডাকো কেবলই যখন মন চায়,
আর আমি?
আমি তো চিরকালীন সাবর—
অপেক্ষার মেহরাবে বসে,
একটিমাত্র নিঃশ্বাসের দোয়া নিয়ে।
তুমি যেন এক মায়ার জাহাজ,
যা মাঝে মাঝে বন্দরে এসে নোঙর করে,
পরে আবার অন্তরালের নীল নির্জনে হারিয়ে যাও।
তবুও, আমি প্রতিদিন অপেক্ষা করি—
যেন কারবালার প্রান্তরে দাঁড়িয়ে
হুসাইনের মতো তৃষ্ণার্ত চেয়ে আছি
তোমার ইশ্কের পানীয়র দিকে।
একবার ডাকো—
আমি দু’হাত বাড়িয়ে দেব পুষ্প্যমাল্য নিয়ে।
তুমি যদি বোঝো কখনো,
এই অপেক্ষার নাম ভালোবাসা নয়—
এ যেন প্রেমের নামে চাপিয়ে দেওয়া ইন্তেহা,
এক অন্তঃস্থ বন্দিত্ব,
যেখানে মুক্তিও আরাম নয়—
বরং এক তাজা যখমের নিঃশব্দ চিৎকার।
